Tuesday 14 February 2017
জাপানি আদলে বাংলা হাইকু-৩ (বিশ্বপ্রেম)
বোকা ছিলাম
তোমায় ভালবেসে
জ্ঞানী হলাম।
নীরব অশ্রু
দুটি বন্ধনে আটা
একই আত্মা।
প্রহর গুণে
মাঝ রাত্রিতে ডাকো
প্রেম পরশ।
নির্জন আয়না
আত্মার রোশনি বুঝ
প্রেম ঝংকারে।
একই সুর
বারবার ধ্বনি তুলে
ভালবাসার।
অতৃপ্তে প্রাপ্তি
প্রেমের সুধা পাণ
গহীনে তৃষ্ণা।
অনেকটা পথ
হৃদয়ের গুণগুণ
মোহ মৌমাছি।
সুন্দর ছায়া
গোলাপ স্বপ্ন ভাসে
বন্ধু বর্ষণ।
চাওয়ার সীমা
খুঁজে দেখি যতটা
পাওয়া সমুদ্র।
ভিক্ষের থালা
প্রেম সুধায় পূর্ণ
রাজা-বরেণ্য।
হে বর্ষা ঝর!
তোমা পরশে ভিজে
হৃদে আনন্দ।
আকাশে চাঁদ
বাতাসে বাঁশি সুর
কন্ঠে কাঁপন।
মধ্য রাতেই
ডাকো আমারে তুমি
অলখে হুশ।
একবিন্দু অশ্রু
ঝরে ঝরে উজ্জ্বল
অনন্ত প্রেম।
আমায় জানো
বর্তমান ভবিষ্য
তোমারি ছোঁয়া।
প্রেম অজ্ঞতা-
হিতাহিত জ্ঞানে ঘাঁ
বিচ্ছেদে ঝাঁজ।
ব্যবসা অংকে
হিসাব নিকাশের
ভাঁড়ে রঞ্জন।
কান্দে বা মন
জপ নাম বন্ধুর
তৃপ্ত পরাণ।
প্রেম দাহনে
জন্ম নেয় ঘৃণার-
নষ্ট না হই।
আগুনে পুড়ে
সোনা হয় সে খাঁটি-
প্রেমে উজ্জ্বল।
অধরা খুঁজি
এপাড়ে বসে ওপাড়ে
আত্মার রুজি।
পৃত্থি সৃজন
স্বরূপে আকর্ষণ
বেহুশ প্রেম।
বীজবিনা জন্ম
যত গাছ গাছালি
নীচে শেকড়।
চাতক আমি
জল থাকতে অনাহারি
মেঘের তৃষা।
বীজ ও গাছ
কোনটা বড় প্রকাশ
বন্ধু তোমার।
আকাশে বৃষ্টি
মাটিতে কোলাহল
অমৃত টানে।
পূর্ণিমা চাঁদ
জোয়ার ভাটা দোলে
দেহে পরাগ।
সমুদ্র পাড়ি
নৌকা বাঁধা পাঁচদড়ি
ওপাড়ে তুমি।
তোমাকে চাই
তৃষ্ণাত্ব ভগ্ন হৃদ
আশা ছাড়িনি।
পৃথিবী শূন্য
তুমি হীনে আঁধার
প্রীতি বন্ধন।
জানতাম যদি
গুরু পদে যে মোতি
সপে জীবন।
নূর নবীজি
যে জম্মে প্রেমাঙ্কুর
চমকে ভূবন।
আত্মার রূপ
যে নাম জপে, মধু
কলস ভরে।
গুরুর প্রেমে
মন মজালে কাসা
সোনার ফল।
চন্দ্র কানন
দিন রাত্রির তুমি
কোটি কিরণ।
ভাগ্যের ফল
দেখি বা সে কিরণ
বেহেস্ত পুরী।
উজান ভাটি
মুক্তির একটি পথ
সমান স্রোতে।
ভবের হাট।
বেচাকেনা চিনে নিস
সোনা কি রাং।
বসত গুহে-
অদৃশ্য ডিম্বয়ারি
আছো সকাশে।
আশেকের পা
মাশুক ভক্তি ঠেকে
বেভুল প্রাণ।
ধর্মের নই
কর্মের মাঝে খুঁজি
বিশ্ব প্রেমের।
নবীর ধ্যানে
পথ হয় সুন্দর
রূপে সাক্ষাত।
মহা সমুদ্র
ভেসে সাদ্দাত পেল
কূলের দিশা।
মাছের পেটে
কুদরতে ইউনুছ
জীবন পেল।
পীড়িতি আঠা
লাগলে কিন্তু ছোটে না
বিচ্ছেদে ভেদ।
দু’ভাগে জল
মূসা তীরে গমন
ফেরাউনধ্বস।
আঁধার ঘর
ডুবে সম্পূর্ণ জল
সৃষ্ট ডিম্বের।
ক্ষ্যাপা পাগল
চোখ তুলে আদম
সূর্য দর্শন।
প্রেম আনন্দ
ডুবে সুধার রাজ্যে
পাপ খন্ডন।
দয়াল বন্ধু
যার আকার নেই
পরান পাখি।
প্রেমের দুঃখ
যেম্নি স্বর্ণ সোহাগা
হৃদে রংধনু।
সুন্দর ধরা
বাসনা বীজ বুনছি
সবুজ আশে।
মনের রং
ঠোঁটের তুলি আঁকা
কিছুটা মেলে।
বন্ধন ধর্ম
নফছে আল্লাহ নবী
আশেকী জ্ঞান।
প্রেম কঠিন-
আগে পর্বত চিনি
পরে দেওয়ানা।
দুনিয়া লোভ
তোমাকে দেখা পথ
আঁড়াল রাখে।
পাপী গোলাম
প্রেমধর্মের দীক্ষায়
আজাদ দিও।
আরশিটা দেখো
রূপ সোয়ানা মুখ
রূহুর বাজনা।
বেদনা অশ্রু
বাড়ে সাগরে জল
কীসের টানে?
আগুন জ্বলে
নিবানো কেহ নেই
প্রেম দরদি!
প্রশান্ত আত্মা!
সন্তুষ্টির বন্ধনে
যাও জান্নাতে।
প্রেম আগুন
যা জ্বালালে জ্বলে না
নিভালে জ্বলে।
ফুলের রূপ
মোহ যেমন তুমি
পাপেই ক্ষমা।
বিচ্ছেদ তীর
বুকে বিঁধে যন্ত্রনা
পাপের ঋণ।
তুষে আগুন
আর প্রেমর জ্বালা
দেখা যায় না।
মিলন ক্ষুধা
এক দরিয়া জলে
মেটে কী তৃষ্ণা?
লাইলি ও মজনু
প্রেম সাগরে ঢেউ
তুফান তুমি।
পৃথিবী সৃষ্টি
প্রেম ঘুড়ি উড়াও
শয়তান দোষী।
স্মৃতি ভাস্কর
তাজমহল পাথর
জ্বলছে অম্লান।
শিলা চুম্বন
বর্হিপ্রকাশ প্রেম
রাগ খন্ডন।
দুঃখই সুখ
তুমি আশার আলো
মেঘে বর্ষণ।
বিনয়ী প্রেম-
বৃহত্তর এটোম
বিশ্ব আলোক।
প্রেমিক চোখ
ঘুমিয়ে চেয়ে থাকে
দৃষ্টি সরে না।
প্রেম জোয়ারে
ভাসি পূর্ণ আনন্দে-
শেষ ভরসা।
প্রেমের জোরে
চুমু খেল পাহাড়
মূছা অজ্ঞান।
সুগন্ধি রাত
ঘ্রাণে বিভোর বায়ূ
হাসনেহেনার।
ফুলের কলি
তুমি ঘ্রাণ ও অলি
এ প্রেম খেলা।
ঝুলন্ত শিলা
বাতাসে ঠাঁই মেলে
জপে প্রেমমালা।
বাজাবে বাঁশি
ধ্বসবে মহাবিশ্ব
গুটাবে তুমি।
নাগিন বাঁশি
সুরে মাতাল সর্প
নামায় ফনা।
কী জ্বালা দিলে?
অন্তর শুধু জ্বলে
পরান পোড়ে।
স্বরূপ তুমি
বান্ধব তুমি স্থায়ী
দুঃখের সাথী।
তুমি চাঁদমুখ
আমি জলমগ্ন
নিতই কোলাকুলি।
আত্মার মধ্যে
দেহের অবয়বে
দখলে তুমি।
কথার কষ্টে
কাউকে ত্যাগ কর না
প্রেম নীরবে।
অন্যের ক্ষতি-
পথে কাঁটার মতো
স্বর্গ পিচ্ছিল।
অন্তর জয়ে
প্রেমের বীজ বুনো
স্বর্গ নিকটে।
অনেক পূণ্য-
উত্তম আচরণ
তারকাসম।
সত্য প্রেমের-
আত্মা মন গ্রথিত
বিলীন সত্ত্বা।
প্রেম সমুদ্রে
লবণ জলে মিশে
জ্যোতির বিশ্ব।
মানব মনে-
লুকিয়ে থাকা প্রেম
বিবেক চাকা।
ভাবের তালা
চাবির কী কুদরত
বিনয়ে খোলে।
প্রেম উত্তাপ
লাভার মতো মিশ্র
পৃথক নয়।
গভীরে ডুবো-
দৃষ্টি ততই খুলবে
স্বচ্ছ প্রেমের।
প্রেম অসীম
অমরত্বে আবাস
আমৃত্যু বাঁচা।
প্রেম বিহীন
দৃষ্টি সব সৌন্দর্য
অসহ্য বোধ।
সকল ধর্মে
ভালবাসা রয়েছে-
প্রেমধর্ম নেই।
ধন হীনের
উত্তম প্রতিদান
হৃদয় দান।
ক্রয় বিক্রয়ে
টাকার খেলাখেলি:
প্রেমে তা নেই।
বিকার হও-
সুক্ষ্ম দৃষ্টি দিও না
তবেই প্রেম।
আশা ছেড়ো না-
অদৃষ্টের ব্যাপার
অদৃশ্যে হয়।
নিজকে বদলাও-
দেখো আপনা-আপনিই
বিশ্ব বদলাবে।
পাগল মন
চিন্তা ভাবনা ছাড়াই
সঁপে দে মন।
সব হারিয়ে
আত্মা রূপী পিঞ্জরে
নিজেকে খুঁজি।
পান্থ অতিথি
কয় দিন কাটাবো?
ফিরবো একদিন।
কোথাও নয়
ভ্রমণ কর দেহে
প্রভুকে পাবে।
আত্মা একই:
তোমার মধ্যে আমি
আমিতে তুমি।
জগত মায়া
অন্তর দৃষ্টি রাখ
আলেয়া দেখা।
কানপেতে শোন
করুনা নিয়ে দেখ
প্রেমভাষা বল।
অন্তরে প্রেম
কখনও থামে না
চলবে অনন্ত।
প্রেমের পথে
হেঁটে হেঁটে গন্তব্য
প্রেম বৃক্ষের।
ছোট ভেবো না
তোমার মধ্যে বিশ্ব-
তাঁরই আত্মা।
মূল সঙ্গীত-
অন্তরে তুলে নাও
ধুলি চমকাবে।
কড়া নাড়াও!
প্রেমে ঘন্টা বাজুক!
ছড়াক বিশ্বে।
অস্ত্র, হিংসা না
রাজ্যের লোভ নয়
প্রেমের যুদ্ধ।
ছিটাও প্রেমবীজ
বিশ্বে প্রেম জম্মাবে-
উড়বে পায়রা।
ভাল না বাসতে-
ধর্মহীনকে আহার
বিহার কেন?
জঞ্জাল পৃত্থি
প্রেমের মহাদানে
স্বর্গ উদ্যান।
শীত বসন্ত
প্রকৃতি ঝরে গড়ে
প্রেমে ‘মা’-ঋতু।
পথহারা শিশু
নির্দেশক তুমিই
কিছু জ্ঞানীর।
বন্ধ চোখেই
দিব্য আঁখি খুলবেই
দুনিয়া ত্যাগে।
সত্য প্রেমের
তরীতে উঠলে পাবে
স্বর্গ আনন্দ।
প্রেমবোধ জ্ঞান
মুখে প্রকাশ নয়
অনুভূতির।
অন্তর দেখ
সব রহস্য ওই
তার ভেতর।
স্বচ্ছপ্রেম যা?
আগে প্রেমহীন হও
তবেই মিলবে।
সর্তক থাক-
প্রভুর লীলাখেলা
হঠাৎ ঝলকায়।
প্রেম করবে?
কিসে বঞ্চিত দেখো
ঠকবে না তাতে।
অন্তরে আশা
লুকিয়ে রাখলে তবে
সাধন দ্রুত।
প্রেম নদীতে
ঝাপাতে চেষ্টা কর
হাতালে মুক্তা।
প্রেম প্রার্থনা-
আত্মা উজ্বল কর
মনে প্রশান্তি।
তিক্ত সুমিষ্ট-
প্রেমে মজলে যেমন
কাসাও সোনা।
মন ভেঙ্গো না
যা নশ্বর মসজিদ
স্থায়ীত্ব প্রেমে।
দুঃখ পরশ
আত্মা কষ্টেই তৃপ্ত
কয়লায় হীরা।
বাঁশির সুরে-
নীরবে অশ্রু ঝরে
বিচ্ছেদে অগ্নি।
আপনি ফানা
কিসের পড়াশুনা
না চিনলে নফস?
নিজের প্রেমে
হাবুডুবু যে জন
কিঞ্চিৎ জ্ঞান।
স্বরূপ দেখা
ঘর মধ্যে রসিক
রূপ সাধন।
তোরা দেখবি যা-
অন্তরে খবর নে
বারামখানার।
কালার বাঁশি
আকুল ভরা প্রাণ
সুধার টান।
কোকিল কান্না
জ্বলছে ত্রিগুণ অগ্নি
বসন্ত যায়।
মনের কথা
না যায় বলা বন্ধু
ভ্রমরে গান।
গৃহে রয় না-
যেম্নি সুন্দর পাখি
বাঁচে না প্রাণ।
প্রেম তরঙ্গ
জলে মীনের দৃশ্যে
দুলিছে অঙ্গ।
সাধনে মিলে
দুধ সংযোগে ঘৃত
মায়া বন্ধন।
সম্বল বাঁন্ধো
পরের জন্য না কেঁদে
আপনি কান্দ।
নিশ্চিন্তে আছ?
পিঞ্জরে বান্দা পাখি
শমনে পাড়ি।
স্বরূপে মেশো
স্বরূপে লীলাখেলা
ভাবেই মজো।
কেঁদো না মন
সব জায়গায় তিনি
বায়ু বর্ষণ।
দয়াল গুরু
কেমনে দ্যাখবো আমি
নূরে চরণ?
প্রেমের জ্বালা
জ্বলেরে বন্ধু জ্বলে
অন্তর বলে।
প্রেমের হাট
চাঁদে-চাঁদে নাটক
দৃষ্টি খোলো চে।
প্রেমের বিষে
এ অঙ্গ জরোজরো
বিঁধলো কাঁটা ঘাঁ।
দরদী আশে
ঝরা ফুলে জানে কী
বেভুল নাশে?
চাঁদের প্রেম
রাতের সাথে স্থির
মৌমাছি ফুলে।
প্রেম জ্বালায়
শরীর পুড়ে ছাই
কীসে নিবাই?
গভীর রাতে
ভেবে বদন ভিজে
সাধন খাঁটি।
আমিই সত্য
আমার মধ্যে তুমি
তোমাতে নাই।
প্রেম সমুদ্রে
ঝাঁপাতে চেষ্টা কর
নিশ্চিত মুক্তো।
অদৃশ্য হও
প্রভু দিপ্তি দিবেন
জান্নাত খুলবে।
জলের মধ্যে
তোমাকে দেখতে পাই
অন্তরে প্রেম ।
কুয়াশা জালে
আমি আটকিয়ে যাই
তারা দৃষ্টিতে।
হৃদ তন্ত্রীতে
পরিস্কার ঝকঝকে
অবুঝ প্রেম।
আগুন জ্বালো
অগ্নিশিখায় খুঁজো
ভক্ত ক’জন।
হৃদয় আলো-
গন্তব্যে যাওয়া পথ
চিনিয়ে দেবে।
প্রেমের দীক্ষা
তোমার আলো থেকে-
সৌন্দর্যে পদ্য।
অতীতে নয়-
ভবিষ্যতে ভেবো না
এখনি ভাবো।
চোখের পাতা
মনের কথা বলে
কাব্যের খাতা।
আমি যা খুঁজি
সেটা আমায় খোঁজে
কঠিন প্রেম।
আত্মার স্থান
উচ্চ ঝর্ণা থেকেই
তৃষ্ণা মেটাও।
নিজের শত্রু
নিজকে পোষণ করো
বন্ধু বানাও।
আমার প্রেম
সৌন্দর্যবোধকে দেখ
প্রকাশ স্পষ্ট।
কতটা প্রেমে
পৃথিবী আলোকিত
সূর্যের ঋণ।
পাখিরা উড়ে
শূণ্যেই বৃত্ত আঁকে
শিখছে কোথায়?
আমি তো দেখছি
তুমি দেখছো আমাকে
মহাবিশ্বও।
চোখের তারা
জ্বলে বলেই দেখি
আত্মার আলো।
এমন অন্ধ
অন্যটি খোলা তাই
দু’চোখ বন্ধ।
তুমি জম্মেছো
আদর্শিক কল্যাণে
উন্মুক্ত ডানা।
উড়তেই শেখো
ডানার বিশ্বাসেই
পাবে গন্তব্য।
একবার মৃত্যু
আবার জেগে উঠবো
হারাবো কোথা?
মুহুর্তে সুখ
দৃশ্যের অন্তরালে
নাড়ো প্রেমকাঁঠি।
অনেক প্রেম
মনে প্রচুর ব্যথা
সফল জন।
চিনলি না মন
প্রেম কি ধন ভবে
সেবা সাধন।
আপন ঘরে
যার বাস না জানি
বাঞ্ছা পরচেনা?
শমন ভুলে
মনে মন মিশালে
পাবে রতন।
বেড়ায় মন
নিজ অন্তর ছাড়ি
তত্ত্ব সন্ধানে।
প্রেম পাথারে
খেলছো তুমি প্রিয়
প্রেম ঝাঁপই।
মনে বাঁধন
প্রেম ঋণে সেলাই
পদো ভিখারী।
পঞ্চ সুরের
বন্ধু হৃদ গহীনে
আছো আনন্দে।
পাগল মন
বন্ধুহীনে আনমন
জলে আগুন।
মেঘে গর্জন
আকাশ হলো ভারি
ওনামে কান্দি।
লক্ষ অশ্রুর
বইছে নদীর জল
বন্ধুর প্রেমে।
বন্ধু দরদী
পাগল মজনু হইছি
সকল ত্যাগে।
দিল দরিয়া
মাঝি নৌকা চালায়
ঘুরছি কেবলই।
বিশ্ব ভূবন
অশান্তি আঘাতেই
শান্তির বীণা।
তোমার বাঁশি
যেথা বেসুর বাজে
সেথায় দীক্ষা।
কেমন গুণী
সুরে পরান কাঁদে
মায়া বন্ধনী।
নামের ধ্বনি
সারা বেলা আকুল
ভরেছো প্রাণ।
সজল চোখ
বুকে স্বর্ণ কমল
কয়লার গুণ।
কমল বন
পথ ভুলালো বায়ু
অরুণ পথে।
বন্ধুর চোখ
গভীর ¯্রােতে ডাকে
পরশ নিতে।
মাটির শিখা
চালাও ইচ্ছেধীন
পূণ্যেই ধন্য।
নাও ছাড়লাম
ভাসি মরণ লীলা
নীল সমুদ্রে।
আকাশ বাণী
হৃদ গভীরে বাজে
বন্ধুর নামে।
লেখায় তুমি
অন্তরের প্রবাহে
নীরব ছন্দে।
পৃত্থি দর্শন
তোমায় দেখি জানি
হৃদয় দোলে।
দ্বীনের নাও
ডুবি-ভাসি-হারাই
ধন্য এ খেলা।
হেরার মায়া
প্রথম সুর ¯্রােত
আলোক বিশ্ব।
রসিক প্রিয়
বাজাও প্রেমো বাঁশি
কোথায় কড়ি?
খাঁচার ঘরে
একাই পোষা পাখি
ছিটকে পালাবে।
পরশ দিয়ো
সারা জীবন তৃষ্ণা
মিটবে কী করে?
অন্তরে ক্ষুধা
চাই আলোক সুধা
আপনই প্রিয়।
গোপনে আছ
বাইরে এসে তাকাও
মিলাও পূণ্য।
ভরিয়ে দাও
প্রেমের রাজ টিকা
ভান্ডারে ধন।
পূর্ণিমা চাঁদ
গগনে প্রেম জ্বালো
আপন মুখে।
ফসল তুলি
প্রেম বোঁঝাই তরী
পায়ের তটে।
চীর কালের
প্রেমঢেউয়ে কাঁপে মন
শূন্যে রোদন।
অশ্রু বর্ষণ
বিচ্ছেদ পূর্ণ দুঃখ-
মিটলো তিয়াস।
আত্মার কোষে
অমৃতরূপ বসা
দুঃখে অষুধি।
হৃদয় চাইনি
প্রেম আঘাত আশা
কাছে যাইনি।
কর্মেই বান্ধা-
তবে পাগল কেনো
দে প্রাণ ভরে।
এমন লীলা
রিক্ত মাঠ ভরেছো
প্রেমের হিয়া।
কখন হবো?
চরণ তলে ধুলো
চিনবেই সবে।
দুয়ার খুলো
প্রাণে পরশ দাও
প্রেমের রাজ্যে।
ঢেউ দোলাও
প্রেম খেলায় বাঁধো
চাঁদ সন্মুখে।
ঘরের চাবি
কুড়াবে পথে ফেলে
বিন্দু নিমেষে।
খুশিই হয়ো
আলো আধাঁর খেলা
হৃদয় নাড়ো।
রাত্রি দিনের
মিলন মেলা দেখা
দেহে নিঃশেষ।
পরম ধন
নিত্য প্রেমের লীলা
গতির সঙ্গী।
তুমি আমার
তুমি বন্ধু সুখশান্তি
জুড়াও প্রাণ।
চরমে সুখ
রূপ-মরমে ব্যথা
অকূলে কূল।
মায়া দর্পন
আঁকো মানস ছবি
কবির দৃষ্টি।
প্রাণ দিয়েছো
মান দিয়েছো সাথে
ভিখারী ধন।
বিশ্ব পুলকে
যে প্রেমে কাঁপে হিয়া
ক্লান্তি জুড়ায়।
কী রঙ্গ করলে
ওগো রাজাধি রাজ
প্রেমে কাঙাল।
আমায় জানা-
সঙ্গে তোমায় চেনা
হিস্যা লেনদেন।
আকাশ জুড়ে
দেখছো অনিমেষ
ঘুচবে আঁধার।
মুখের কথা
দোলে আমার প্রাণ
দীপ সন্ধানে।
রতœ দিয়েছো
স্বাদ না মেটে যদি
কণা বেঁটে দে।
দিনের শেষে
ওপথে দৃষ্টি রাখি
জ্বালাই বাতি।
যিনি কাঁদায়
তিনি ভুলিয়ে আনবে
তুলবে ঘরেতে।
আমাকে তুমি
রাখ তোমার চোখে
সে চরণপাতে।
তোমার প্রীতি
ভরে এ দেহ প্রাণ
নিজকে প্রদান?
পাঠাবে দূরে
আসবো চরণ তলে
রাজার খেলা?
তোমার প্রেম
ধন্য করেই জ্ঞান
নিজকে সে দেখে।
এসেছো দ্বারে-
সঙ্কট, বজ্র, মৃত্যু
বাঁধন ছিঁড়ে?
আলোক ঝর্ণা
ছুঁয়ে দিও হৃদয়
মাথা দে নুইয়ে।
তোমার পানে
ছুটুক প্রেম তরী
ভরুক দানে।
প্রেমের দান-
তুমি সত্যেই আশা
নিঃস্ব - কল্যাণ।
কুঞ্জ সাজাও
যে সাজে ধরা ধুলি
ভোলে আনন্দে।
তুমি যা দাও
সে যে দুঃখের দান
সার্থক প্রাণ।
একাই জাগি
এ যে বিরহী হিয়া
তোমার জন্যে।
প্রেম রাগিনী
বাজে হৃদ ভুবনে
আসন পাতি।
ডমরুর বাজনা
রিমঝিমের ঝংকারে
চিনি তোমারে।
প্রদীপ জ্বালো
লুকানো ছায়া ঠেলে
এসো পূণ্যালো।
আমার আলো
শুধুই জ্বালা, কালি;
কিরণ ঢালো।
দুঃখ ভুলিয়ে
রাখো করুণা করে
দুয়ার খুলে।
সকল আশা
সব ভালোবাসায
নামটি যে প্রভু।
আশেক ত্রান
আরো ডুবাও প্রেমে
সুধা সাগরে।
বিশ্ব ছবিতে
প্রেমরূপ খুঁজতে পথে
জ্যোতির আশে।
তোমার ইচ্ছা
চরণে প্রেম আশা
পূর্ণ হউক।
করুণা কণা
প্রেম সলিল ধারে
¯েœহে জুড়াও।
নিবিড় নিশি
পথরেখা গেছে মিলে
কী করে চিনি?
সেবক হবো-
চিত্তে কর্মে প্রলুব্ধ
বিশ্ব দুয়ারে।
আমায় লও
ফিরে দিও না আর
হৃদয়ে বসো।
সকল শক্তি
প্রেমভক্তি দয়া আলো
সব তোমার।
বিরস প্রাণ
দাও প্রেম সলিল
ধরো প্রদীপ।
ইচ্ছা জাগাও
প্রেমে বিশ্ব ডুবুক
শান্তি বর্ষণে।
জীবন দাও
তোমার ইচ্ছা মাঝে
মঙ্গল কাজে।
সাধন ধন
প্রেমসিন্ধু তীরে মিলবে
সত্য সন্ধান।
প্রেমিক দেহ
চিত্তে ¯েœহ বর্ষণ
মিটবে তিয়াস।
পাষাণ হৃদে
প্রেম জমেই ক্ষীর
জয় তোমার।
আমি আসবই
চন্দ্র সূর্য তোমার
কতটা সাজবে?
বিরহে জ্বালা
দুঃখে রাখেন মান
প্রেমাভিসারে।
মেঘের আলো
প্রেমের দীপ জ্বালো
পরাণ ভরে।
বাঁশির সুরে
খুঁজে বেড়ায় দূরে
পাগল মন।
তোমায় ডাকি
হৃদ গহীনে রাখি
তবু তৃষ্ণার্ত।
সময় হলো
লইবে বাঁধনে টানি
ভাসবো জোয়ারে।
বিরহ জালে
যে সেতু বাঁধি প্রেমে
সঁপিতে ভারী।
দূরে তো নয়
চিত্তে মাধুরী ফুটে
মধুর গন্ধে।
তোমার জন্য
প্রেমেই নিদ্রাহীন
তবুও ভালো।
প্রেম বাসনা
বিরহে কাঁপছে হিয়া
দেহ নিশ্চিহ্ন।
তোমার দ্বারে
ললাটে ধূলা মাখি
রইবোই বসে।
তোমার নামে
সে পথ দিয়ে যাবো
সবারে তুষি।
বহু যতনে
আত্মাকে ধুবো আমি
যদি মনজাগে।
গোধুলী লগ্ন
পথ চেয়েই মাঝি
কূলে ভিড়াও।
আমার মধ্যে
বাঁধনে রাখো বাঁধি
আলো পিয়াস।
শিকল নাড়ো
দুঃস্বপ্নে মায়াবদ্ধ
মারেই মরি।
নিজের ছায়া
রচিবে কত মায়া
আঁধার টুটবে।
হৃদয় পদ্মে
ঠাঁই গহীন কোণে
স্বর্গ মাধুরী।
তো মনে রেখো
পুরনো প্রেম ঢাকে
নতুন জালে।
জমানো আছে
চিরন্ত কথাখানি
সহজ প্রেমে।
ডাক দিয়েছো
ফিরি উদাস প্রাণে
এমন টানে।
ধরণী চুমে
চরণে সমর্পন
খোলস খুলো।
ও দরোদিয়া
আছ হৃদয় জুড়ে
জনম ভরে।
সাথেই থেকো
তোমার মধ্যে ঢেকো
আলোক ভরে।
বিশ্বের প্রেমে
অন্তর কর জয়
হিং¯্রতা নাশ।
জাগাও প্রাণ
প্রেমের সুধা ঢালো
ধন্য জীবন।
বিশ্ব জগতে
প্রেম আঁখি সুন্দরে
বঞ্চিত কেন?
তোমায় ডাকি
সকল ফেলে ছুটি
নিজেই ফাঁকি।
পরম প্রেম
জন্ম মৃত্যু সঙ্গীই
রাজ্য বরণ।
আশার মাছি
আকাশ তারা সাক্ষী
বাঁধো প্রেমডোরে।
অনেক দাগি
তপ্ত হৃদয়ে পরবো
প্রেম বসন।
ডাকবো মধুর-
প্রেমপূর্ণ প্রাণ দাও
কলহ দূর।
খুলে দে দ্বার
হৃদশূণ্য করে রেখো
বাজাবে বাঁশি।
বাঁধন খুলো
তীর যদি না দেখি
একা অকূলে।
ফাঁদ পেতেছি
অন্তরে কান্না ধন
খুলেছি আঁখি।
মহান দাতা
সহজ প্রেমের ত্রি
ভূবন পাতা।
মনে রাখিস
মৃত্যূ আঘাত খেয়ে
মুক্তি জানিস।
বিষম ঝড়ে
সাগর পাড়ি দেব
প্রেমরাঙা নায়ে।
বিজনে হাত
হৃদে পরশ ভরা
আমায় টানে।
নিজের জান
তোমার কাছে ঋণী
বুকে পরশ ।
দুঃখ কিসের?
মৃত্যূ শেষ করে দে
জীবন পাবে।
ত্যাগে যে জয়
প্রেমে যে পরিচয়
মুকুট বাঁধা।
হৃদয় ডাকে
দুঃখাশ্রু মিশবে তার
আনন্দলোকে।
দু’হাত তুলে
ডাকলে তারে দেখিস
পাবে প্রেমমলয়।
কঠিন সুধা
এমনি নিষ্ঠুর প্রেম
দুঃখে মধুর।
আসুক বান
ভাসাও প্রেমে তুমি
জয় আমারি।
প্রাণ কাঁদেরে
অসীমে প্রেম উৎস
স্বজন কই?
মধুর খেলা
প্রেমে আঘাত সত্য
ধিক্কার নেই।
পথের শেষে
অনন্ত বসবাস
ভাবনা কিসের?
অপার তৃষ্ণা
মনে প্রাণে পুলক
সঞ্চিত হেম।
ভবের কূলে
গেঁথে রাখিস মালা
আপন টানে।
অনন্ত প্রেম
নাই নাশ- অক্ষয়
নিত্য নবীন।
জীবন নদী
আঁখির জলে আঁকে
অসীম দেশ।
দুঃখের বাঁশি
আনন্দে বাজবে ডাকি
গভীর প্রেমে।
মহত হৃদ
প্রেমের অংক কষা
অতি উত্তম।
সকল কষ্ট
মুছে ফেলা সম্ভব
প্রেমের ছাড়া।
ক্ষমায় প্রেম
শ্রদ্ধায় ভালোবাসা
আল্লাহ কাজ।
প্রেমের সুখ
কর্মে প্রমাণ মেলে
ভিত্তি কতটা?
প্রকৃত প্রেম
শ্রদ্ধা থেকেই আসে
ধৈর্য অষুধ।
প্রণয় হচ্ছে
সব কিছুর শুরু
মধ্য ও অন্ত।
জ্ঞানী ব্যক্তিরা
প্রেমে বিকার হয়
বোকারা নয়।
বিচ্ছেদ দুঃখে
প্রেমের বেগ বেড়ে
মরিয়া হয়।
প্রেমের সুরা
পাণ করেই কবি
মাধুর্য পায়।
প্রেমে আনন্দ
কাঁচের ভংকুরতা
দুঃখে অনন্ত।
প্রণয়ে বাঁধলে
বোকারা বুদ্ধিমান
বুদ্ধিরা বোকা।
তোমার প্রেম
ভক্ত প্রাণের স্পর্শ
যুগলাঙ্করি।
নিভৃত খেলা
সাধনায় রচিত
প্রেমের জ্যোতি।
আকাশ নীল
ঝরছে সূর্যের প্রেম
সাগর দোলে।
সফল করো
শুস্ক হৃদয়ে প্রেম
নয়নে প্রভা।
আনন্দে অঙ্গ
কত ঢেউয়ের ছন্দ
কত যে রঙে।
বিশ্ব কল্যাণে
চিত্ত পুলক প্রেম
প্রদীপ ধরো।
প্রেমেই নাচে
বিশ্ব ভূবন সাজে
সবুজ ছন্দে।
তোমার বায়ু
বন্ধুর ¯েœহে বসে
বক্ষ পিঞ্জরে।
কী করে রটবে?
সূর্য থেকে ঝরিছে
মধুর প্রেম।
পথের সাথী
পথ হারালে প্রিয়
গাইড তুমি।
হৃদমাঝে প্রেম
দুঃখ সুখের হর্ষ
পরান পুরে।
সবার মাঝে
সব কিছুতে আছ
আমার তুমি।
আকাশ থেকে
বিলায় তুমি প্রেম
ধরণী হাসে।
প্রেম ভিক্ষুক-
ফুল বক্ষে সুগন্ধ
তে¤িœ বাঁধো না?
বিশ্ব বিহারে
সবার সাথে প্রেমে
জাগবো আনন্দে।
এইতো সাধন
হৃদে চরণ রাখো
দাও প্রেমকণা।
স্বীকার করি
মহিমা যেথা জ্যোতি
অশ্রু ঝরাবে।
বিশ্ব সভায়
আলোয় ধুয়ে দিও
বদনে নূর ।
প্রেমহৃদ খনি
পাবে মণি সাধনে
যতটা লাগে।
বিচিত্র সুখ
জয়-নাশ করুণা
প্রেমমধুময়।
বেঁধেছো প্রেমে
আকুল প্রেমময়
রূপ নয়নে।
পরানে শান্তি
খুঁজেছি বিশ্বময়
প্রেম-নিলয়।
গহীন প্রেমে
সুধা রসের ¯্রােতে
নয়ন ভাসে।
কী আনন্দ!
আপন মনোমাঝে
দূর পরবাস।
চঞ্চল মন
প্রেমে অস্থির চিত্ত
তৃষ্ণা মেটাও।
সকল প্রীতি
প্রেমে বাইরে ভিতরে
একমাত্র সঙ্গী।
প্রেম রসেই
জ্ঞান ধ্যান ভক্তির
জীবন দাও।
নবীন করো
প্রেমে আলোক দাও
সুধা সাগর।
প্রেমপথে কাঁটা
উপড়ে ফেল দেয়াল
ভিতরে বাইরে।
অন্তরে বসো
আঁধার হউক চূর্ণ
ভরো অমৃতে।
অনাথ আমি
তোমা বিনে প্রেমমতি
প্রাণে ক্রন্দন।
প্রেম বিহনে
জীর্ণ কোঠরে জ্যোতি
পাবে কেমনে?
বন্ধুত্ব চাও?
চিত্তকমলে রাখো
চরণ জ্যোতি।
বাজে প্রেমদুখ
আঁধার বুঝি গ্রাসে
প্রদীপ জ্বালো।
হাতরাখছি বুকে
তিমির ঘুচে থাকি
মহিমা মাঝে।
শূণ্যে প্রাণকান্দে
প্রেমবিন্দু করো দান
চরণ স্থানে।
কাঙাল মন
বাঁশির সুরে কাঁদে
উদাসনয়ন।
প্রেম জাগাও
নিরস প্রাণে মধু
পাষাণে কাঁদা।
করুণাময়!
দুঃখে সুখে বন্ধন
¯েœহের প্রেমে।
কোথায় থাকো?
শূণ্য হৃদে বাঁধভাঙছে
প্রেমের বায়ু।
শান্তির নদী
গভীর প্রেমমুখ
বানে মাধুরী।
ধন্য এ প্রেম
শান্তির ফুল ফুটলো
বিশ্বজগত।
কিরণ শোভা
¯েœহ দয়া প্রেমভক্তি
কোমল প্রাণ।
তোমার প্রেম
ধর্মে-কর্মে জগতে
তোমাতে লীন ।
হারাবো কী সে?
প্রাণের সঙ্গে প্রাণ
সেতু বন্ধন।
বৃত্তের খেলা!
মহাপ্রাণে মিলন
বিন্দু স্বপ্রাণ।
তুমি প্রাণময়
আমি বাঁচি কৃপায়
আছো তাইযাচি।
ভালোবাসছো যে
জ্বেলেছো তার আলো
ভরেছো প্রাণ।
বাঁধো প্রেমডোরে
জীবন ধন মান
তোমারী দান।
আগে জানিনে-
তোর প্রেমে দয়াল
পরান কাঁদে।
দোয়া করিও
আক্ষেপ করিও না
দেখবেন তিনি।
সুন্দর তুমি
নবীন রঙে লও
চিত্ত রঞ্জনে।
কিসের টানে?
চেয়ে থাকে আকাশ
আমার পানে।
যে জন প্রিয়
রাখিসনে অশ্রুদ্বারে
রাখিস হৃদে।
বুকের মধ্যে
দেখবি দুই নয়নে
প্রাণ সজনি।
তারেই জানি
চিনলে সোনার কাঠি
দানের দাবি।
প্রেমের বাণী
ভক্তে সাধন মেলে
সুধার রস।
অচেনা বিশ্ব
প্রেম অচেনা তাই
হৃদয় দোলে।
ভাসাই ভেলা
আবার শুরু করি
নতুন প্রেমে।
সবাই যাবে
প্রেম যুগান্তরের
তরী বাওয়া।
স্বপ্ন মধুর
পথে দোরখুলে দাও
তুষার মুছে।
ধন্য হয়েছি
তোমার কাছে ধন্য
প্রেমের জন্য।
বক্ষের ধন
যে¤িœ দোলায় দোলে
প্রেম আনন্দে।
তোমার নামে
রঙিন তুলি আঁকে
জীবন রেখা।
ডুব দিয়েছি
প্রেম সাগরে মুক্তা
স্বরূপ আশে।
দিন ফুরালে
ঘুচবে সকল সঙ্গ
মিশবে খাঁটিতে।
পাগল বলিস-
কালপ্রেমে করবে তুমি
বদন নীচু।
ভাসা প্রেমভেলা
করিসনে অবহেলা
আঁধারে মণি।
বিচ্ছেদী প্রাণ
পুড়িয়ে ফেল বর্জ
দেখবি সূর্যালো।
প্রেম বন্ধন
কেমনে টুটবে তুমি
স্বর্গ অঞ্জন।
ভাবের আয়না
ভবে মিলন তৃষ্ণা
অলীক আশ।
হৃদে পিপাসা
খুঁজি চরণ তল
প্রেমালো কণা।
জেগেই দেখ
কী প্রেমে দংশালো
বাসর ঘরে।
প্রেম বাজারে
বিকায় হীরা চুন্নি
বিক্রি ইশারা।
অজ্ঞানে জ্ঞান
প্রেমানন্দে প্রশান্তি
হৃদয়ে ভরো।
যুদ্ধে বিকার
প্রেমে সেতু বন্ধন
শান্তি আয়ত্বে।
অস্ত্র ধিক্কার
প্রেমে মহড়া দাও
পায়রা উড়বেই।
ধ্বংসে পরমানু-
প্রেমে জাতি গঠন
প্রশান্তি বীজ।
মানুষ মারা
যুদ্ধে কৃতিত্ব নয়
প্রেমে অমর।
প্রেম নিশান
যুদ্ধ দুর্দম বেগ
শান্তি এ্যাটম।
তুমি বক্ষেতে
আমার মন বলে
স্থায়ী আসন।
প্রেম বাতাসে
চির নতুন সুর
সুধা মধুর।
আঁধারে আলো
তুমি স্বর্ণ প্রদীপ
চাঁদ তিলক।
কষ্টে পেয়ালা
উপচে পড়েছে ভরে
ধরা দাও হে।
সঁপেছি প্রাণ
কদিনের অতিথি
তবু উতলা।
প্রেম সাধন
ধূলায় চরণতল
নীরব আশা।
এককণা প্রেম
খন্ড দিনের আলো
আকাশ পাওয়া।
দিনের শেষ
জাগল রাঙা মুকুল
তুমি আসাতে।
মন কাননে
বাজে প্রেমের সুর
যা সঙ্গোপণে।
উতলা মেঘ
চিরশূণ্য হলো না
সুপ্ত বেদন।
বিদায় বেলা
মেঘে ঢেকেছে তারা
নীরব ব্যথা।
ডাকছি দরদী
দাও না সাড়া তুমি
ছন্দে ময়ুর।
ইশারা কথা
প্রেমের বর্ষা নামলো
প্রাণেই সুধা।
অনেক পাওয়া
বিন্দু আলোর মাঝে
প্রেমটুকু চাওয়া।
বিচ্ছিদী বন্ধু
মনের দুঃখ কইতে
পারছি না সইতে।
জ্বালিও প্রাণ
দিপ্ত প্রদীপ দিয়ে
আশায় আছি।
স্বপ্ন জোয়ারে
বাঁধবি দু দুজনারে
কুহক জালে।
প্রথম চেনা
কথার মোহে জানা
চিত্ত নাচন।
দুঃখ মেটাবো
আগুনে করবো স্œান
শোধন প্রেমে।
অবগুন্ঠন?
যদি পর্দা না তুলো
চিনবো সেদিন।
নিশীতে জাগি
সরস প্রণয়ভীত
মৃদু কম্পন।
হৃদ মন্দিরে
ফুলের গন্ধ ভাসে
উন্মাদ বায়ু।
অন্তরে ফুল
বিরহে বাতিঘর
বন্দী প্রণয়।
মধু কুঞ্জনে
সুখ¯্রােতে ভাসাও
আমি নিকটে।
মোহে অবশ
বাঁধি প্রেমের ডোরে
রূপ সাধন।
অকূল পাড়ে
করবো প্রেমপারাবার
জীবন তরী।
যা খোঁজা খুঁজছি
যা বুঝার বুঝেছি
প্রেমহৃদ সুস্থি।
উদাস আঁখি
বুকের দরজা খুলো
উঁকি প্রেমতারা।
মিলন ব্যথা
পদ্মার সাথে মেঘনা
সাগরে লোনা।
অন্তরে আছ-
বেঁধেছি ফুল রাখী
খুলে ফেল না।
ডানার শব্দ
পান্থ পাখির ফেরা
নন্দন ছন্দ।
আশায় থাকি
তৃষ্ণ আকুল মন
দিগন্তে চোখ।
প্রেমিক নও
যদি হেলায় থাকো
জায়গা না দাও।
বুঝেছি মাত্র
যন্ত্রনা কত মূল্য
তোমাকে খুঁজে।
দরদী ধন
শিরে দাও না স্পর্শ
ফুলে মুকুল।
যারে যা পাখি
ছিন্ন প্রেমে একাকী
নিঃশেষে খাঁচা।
প্রেম রসালো-
ছিঁড়ে মিথ্যার জাল
ঘুচবে জঞ্জাল।
যে প্রেম জ্বলে
সুধায় দীপ্ত হয়
গৌরব স্থায়ী।
তুমি জানো না-
সাধনে মিলছে ছন্দ
বেঁধেছি প্রাণ।
সার্থক স্বপ্ন
তৃষ্ণায় ক্ষুদ্ধ আশা
আঁধারে ভাষা।
প্রেম উদ্দেশ্য
অতীতে বহে স্বপ্ন
নব্য কালের।
হৃদয় কাঁপে-
স্মৃতির দীপ জ্বেলে
শান্তির দান।
পরান কান্দে
পিড়ীতি মজে ক্ষীর
কার বচনে?
নয়নে জল
কুঞ্জ দুয়ারে আশ
প্রাণে বসন্ত।
আঁখিতে আঁখি
হৃদয়ে হৃদি স্পর্শ
ভূবন জয়।
দু’জনে মিল
দু’ধারে বসবাস
মন উদাস।
মিশেছো বক্ষে
প্রেম হারালে রুক্ষ্ম
হারাবো দিশে।
ছায়ার নৃত্য
পাগল করে মন
অধরা প্রেম।
সুদিন আশে
ভালবাসা বেদনা
সাধনে মেলে।
বিশ্ব কাঙাল
প্রেমের দানে মজনু
সেরা ইনাম।
পাচ্ছি তোমায়
আকাশ মাটি লীন
সঙ্কেত তারা।
আঁখির তৃষ্ণা
হৃদয়ের ভরসা
এটাই প্রেম।
আকুল তৃষ্ণা
নতুন অনুরাগ
দহনে মধু।
প্রেমের মন্ত্র
চির সুন্দরাবদ্ধ
অভিনন্দন।
প্রেমের ঋণ
শোধ হয় ক্ষমায়
থাকলে কালিমা।
আশায় মত্ত-
প্রেমের ফাঁদে বিশ্ব
পরলে ভয় কী?
চাঁদের প্রেম
ছুঁয়ে যায় এ গ্রহ
দু’ শ পেরুলে।
জোনাক প্রেম
ভূবনে দীপ জ্বেলো
শান্তি পরশ।
তুমি সুন্দর
রংধনু সুধা ঝরে
প্রাণ ভেতর।
প্রেম পিপাসা
কন্ঠ শুস্ক কঠিন
দৃষ্টি কুয়াশা।
পীড়িতি চাষে
ভরে যাক পৃথিবী
শুভ মিলনে।
রূপের মোহ
উদাস প্রেম দাহ
ভাবের রসে।
সবুজ প্রেম
আলোর স্বপ্নে খুশি
ভূমিতে মিলে।
কত যুগের
কত গোপন কথা
গম্ভীরে জাগে।
প্রিয় পরবাসী
যাও মেঘের গতি
নীরবে বলে।
মন ছুটেছে-
প্রেমে মত্ত প্রবাহ
দূর ভূবনে।
সিক্ত সমীর
রৌদ্রছায়া পেছনে
চলেছো ধীরে।
জীবন বাঁধা
দুঃখ-সুখে দু’তারে
নিবিড় বীণ।
কান্ডারী তুমি-
হাসি কান্নার প্রেম
অমৃত সুধা।
হিয়া বন্ধন
প্রতিক্ষণ বিরহ
সুখ স্পন্দন।
অনন্ত বাণী
মধুপাত্র কোরআন
পূর্ণ বিধান।
কিছু দাও না
প্রাণ মুখর প্রেম
লও নীরবে।
কার সন্ধানে
খুঁজি অন্তরে বাইরে
নন্দন সুখে।
পথ চিনেছি
খুঁজবো তোমায় দিলে
মহান আশা।
প্রেমের চিহ্ন
চেনা দিনের গন্ধ
কষ্টে চমক।
সুখ সন্ধানে
পীড়িতি জপিমালা
হৃদয় জ্বলে।
ফুলের প্রাণে
মধু লুকিয়ে
মৌমাছি ঘর ছাড়া।
বসন্ত ফুল
সবার সাথে বাঁধা
নতুন ধ্যানে।
প্রেমের শিখা
ললাটে আঁকো বিশ্বে
বিজয় টিকা।
কুসুম বাগে-
ভ্রমর সুরে ম’জে
হাওয়ায় দুলে।
প্রাণে মানুষ
একা আরেক খোঁজে
দরদ বুঝে।
রাঙিয়ে দাও
অরুণ রাগে মর্মে
আমার কর্মে।
মন মানে না
সারা বেলা আনমনা
দৃষ্টি হানে না।
তিলক আঁকা-
প্রেম রেনুর সুধা
করাও পান।
সকালে কুঁড়ি
বিকালে ঝরা পাঁপড়ি
মাঝখানে ফাঁকি।
যাবার বেলা
কঁচি পাতার স্বর
ডাকছে আমায়।
কালের স্রোত
দোলে যে ঢেউ খেলে
সচল ছবি।
তোমার শুরু
দু’য়ে বন্ধন ধারা
আমার সারা।
মধ্যাকর্ষন
উর্দ্ধে গভীর মোহ
ভূমির পানে।
চাঁদের স্নিগ্ধ
জোনাকি ধরে রাখে
রাতে প্রেমালো।
হৃদ গভীরে
প্রেমের সুতা বাঁধা
আত্মাতে আত্মা।
রঙিন খেলা
কঠিন প্রেম ছন্দে
পৃথিবী ঘুরবে।
আপন বশে
বেঁধেছো বাসা প্রাণে
সাধন রসে।
হৃদয়ে স্মরি
আধো বিশ্বাসে আশ
ভালোবাসার।
সঠিক পথে
অর্পিত নেয়ামত
সূচনা দ্রুব।
তোমার প্রেমে
যারা দৃঢ় বিশ্বাসী
সাফল্যে তারা।
আকুল প্রেম
মান্না ও সালওয়া
ঐশি ইনাম।
প্রেম আমার -
ঘৃণা, পাপ অহং
তুমি দর্শক।
বিশ্বাসী প্রেম
প্রবলতর ক্ষমতা
শান্তি অন্বেষ।
হজ্ব পালন
মক্কামে ইব্রাহীম
মহান প্রেম।
দুঃখ দিয়েছো
মোচনকারীও তুমি
সর্বশক্তির।
প্রেমের দান
যতো হোকনা কঠিন
গভীর স্বাদ।
প্রেমের মোহ
সৃষ্টিকে গড়ে তোলে
অহং ত্যাগে।
বিশ্ব মানব
আদর্শে পরিপূর্ণ
প্রেম দিকদর্শে।
প্রেমের ফুল
ফুটে জীবন ভর
আঁধারে আলো।
প্রেমের স্মৃতি-
নতুন সাজে আদি
অন্তের সুখ।
গোপন প্রেম
আবদ্ধ কারাগারে
হৃদ কাবায়।
আত্মার সীমা
অসীমে বদ্ধ হয়
অনন্ত প্রেম।
প্রেম দর্পন
ভাঙ্গলে শ প্রতিবিম্ব
ছায়া ধারণ।
প্রণয় ধনে
আমি গরীব ভিক্ষু
ঠাঁই দে প্রাণে।
বক্ষ শিকারী-
যে প্রণয় ভিখারি
বাঁধো প্রেমবাণে।
এমনি বাঁধন
প্রেমে পাথর ক্ষয়
চোখের জলে।
শূণ্য খাঁচায়
চুরি করে মনচুরি
থাকো সেথায়।
গাঁথবো প্রেমফুল
ত্রিভূবনে নাইকো যা
তেমনি অমূল।
ও ভোলা মন
প্রেমে ভক্তি- মুক্তির
করো অন্বেষ।
নবীর প্রেম
পাপ তাপ শোধনে
পূণ্য মলয়।
প্রেম ছিটাবো
কর্ম সাধনে শান্তি
ভরবে ভূবন।
যে প্রেমে বন্দী
সে এক ও অনন্য
উপমাহীন।
আসল প্রেম
অন্তর পরিচ্ছন্নে
মহাঔষধ।
প্রেমে পূর্ণতা
লোভ-লালসা মুক্ত
পবিত্র আত্মা।
প্রেম না থাকলে
চেনার আশ
পাখাহীন বিহঙ্গ।
প্রেমে অপূর্ণ
কারণ তো একটাই
আয়নায় ময়লা।
যে মনে জং
প্রেমে বিস্বাদ তার
অস্থির দেহ।
বুকের ব্যথা
জানান দেয় রোগ
প্রেমিক হওয়া।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment